আজ: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৪ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার |

kidarkar

পহেলা বৈশাখ আজ, স্বাগত ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ পহেলা বৈশাখ, নববর্ষের প্রথম দিন। বাংলা পঞ্জিকার পাতায় আজ যুক্ত হলো এক নতুন বছর। পহেলা বৈশাখ বাঙালির জীবনে শুধু নতুন বছরের শুরুই নয়, এদিনে জীর্ণ-পুরোনোকে ছুড়ে ফেলে নতুনের আবাহন করে বাঙালি।

নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বরাবরের মতো এবারও প্রস্তুত বাংলাদেশ। বর্ষবরণ উপলক্ষে বাঙালি ছাড়াও বিভিন্ন জাতিসত্তা মাতে তাদের নিজেদের উৎসবে। এবার তাই সরকারিভাবেই বর্ষবরণের আয়োজনে যুক্ত হয়েছে অন্য জাতিসত্তাগুলোও।

সৌর পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা বারো মাস অনেক কাল আগে থেকেই পালিত হতো। এই সৌর পঞ্জিকার শুরু হতো গ্রেগরীয় পঞ্জিকায় এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে। সৌর বছরের প্রথম দিন আসাম, বঙ্গ, কেরালা, মনিপুর, নেপাল, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু এবং ত্রিপুরার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অনেক আগে থেকেই পালিত হতো। এখন যেমন নববর্ষ নতুন বছরের সূচনার নিমিত্তে পালিত একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে, তখন এমনটি ছিল না।

মুঘল সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেকে বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সব খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকতো। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদের মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হতো। এই উৎসব একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়, যার রূপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে।

তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল হালখাতা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হলো বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিক হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা- সব স্থানেই পুরোনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকানদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকেন।

বাংলাদেশ এবং ভারত ছাড়াও পৃথিবীর আরও নানান দেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়ে থাকে। মূলত প্রবাসী বাঙালিরা সেসব দেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে থাকেন। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার প্রত্যেকেরই বছরের নতুন দিনে উৎসব আছে। এদের মধ্যে ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.