সূচকের ধারাবাহিক পতনে বিনিয়োগকারীরা দিশেহারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষীণ আশা আবারও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি স্থগিতের খবরে দেশের বাজারেও সামান্য স্বস্তির আভাস দেখা দিয়েছিল। বিনিয়োগকারীরা ভেবেছিলেন—দীর্ঘদিনের চাপ পেরিয়ে এবার হয়তো সূচক ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসেই বড় ধরনের ধাক্কা খেল শেয়ারবাজার।
বাজার খোলার পর দিনের শুরুটা কিছুটা ইতিবাচক ছিল। সূচক বাড়ছিল, শেয়ারদরও বাড়তে শুরু করেছিল অনেক কোম্পানির। মুহূর্তিক সেই স্বস্তির পর বাজারে ফিরে আসে পুরনো আতঙ্ক। দিনের মাঝামাঝি সময় থেকেই সূচক ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামতে শুরু করে। বিকেল নাগাদ তা পরিণত হয় একটি স্পষ্ট পতনে। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, বিনিয়োগকারীরা দিনের শুরুতে কিছুটা সক্রিয় হলেও দ্রুত বিক্রির দিকেই ঝুঁকে পড়েন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দিনের শেষে দেখা গেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন। লেনদেন কিছুটা বেড়েছে ঠিকই, তবে সেটিও আসলে বিক্রির চাপ থেকেই। বাজারের এই গতিপ্রকৃতি বলছে, বিনিয়োগকারীদের মনোভাব এখনও স্থিতিশীল হয়নি। বরং এক ধরনের অনিশ্চয়তা এবং আস্থার সংকট বাজারের প্রতিটি স্তরে বিরাজ করছে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে পরিস্থিতি আরও হতাশাজনক। সেখানে সূচকের পতনের পাশাপাশি লেনদেনও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ হঠাৎ কমে যাওয়ায় বোঝা যাচ্ছে, তারা বাজার থেকে সরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন বা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ দূরত্বে সরে গেছেন।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের পতনের পেছনে শুধু আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিই দায়ী নয়। বরং নীতিনির্ধারণী অস্পষ্টতা, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তা একত্রে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
অনেক বিনিয়োগকারী এখন শুধুই তাকিয়ে আছেন—নীতি নির্ধারকরা কবে এবং কীভাবে এই বাজারকে স্থিতিশীল করার বাস্তব পদক্ষেপ নেবেন। বারবার একই ধরণের সংকটে পড়া বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে ধৈর্যের জায়গা ছিল, তাও এখন ফুরিয়ে আসছে। কেউ কেউ বলছেন, “বাজারে টিকে থাকতে হলে শুধু অর্থ নয়, সহ্যশক্তিরও দরকার হয়—এবং সেটা দিন দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে।”
তারা বলছেন, এই বাস্তবতায় বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে প্রয়োজন একটি সুস্পষ্ট ও বাস্তবভিত্তিক রোডম্যাপ।
এই বাজার বন্ধ করে দিক ! ইলেকশনের পর চালু করাটা ভালো বলে মনে করি! এই সব ছাগল পাগল লজ্জাহীন বুইড়া বেটাদেরকে দিয়ে শেয়ার বাজার চালানো সম্ভব না l যারা 11 মাসে পারে না তারা 11 বছরেও পারবে না l